গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন। গত ৭ জানুয়ারি সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের দল তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দম্পতিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে একটি প্রতারক চক্র ২১ ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এর বিপরীতে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে। এই ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালিন ম্যানেজার জড়িত ছিল। এই দম্পতি ওই চক্রের সদস্য। তারা জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। তাদের ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতি করে উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যে একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ‘২০০৪ সালে জালিয়াতি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাংকটি মামলা করে। তবে তখন থেকে পালিয়ে ছিল মোস্তাক হাওলাদার। ওই মামলায় তার সাজাও হয়েছে। সে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিল। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করে। ১৬ বছর ধরে পলাতক মোস্তাককে খুঁজছিল পুলিশ। ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হক গ্রেফতার হয়। ২০০৬ সালে সে তিনমাস কারাভোগ করে। পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যায়। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনও কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা- তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।’
ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রেখেছে সিআইডি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে তারা। ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করে সে ব্যবসা করে শিল্পপতি হয়েছে। তার পরিচয় পেয়েছে সিআইডি। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।