বুধবার এক বিবৃতিতে তারা এ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তারা নিজেরা কাজ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চান। এ জন্য তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিবিসি জানয়েছে, ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেল ওই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তারা বছরের কিছু সময় যুক্তরাজ্যে এবং বাকি সময়টা উত্তর আমেরিকায় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন।
বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান লিখেছেন, বহু দিন ধরে চিন্তাভাবনা আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা রাজ পরিবারের ‘জ্যেষ্ঠ’ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাইছি। আমরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করতে চাইছি।
তারা আরো বলেছেন, ‘রানি, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই’ তারা তাদের সময় যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভাগ করে নিতে চান।
এদিকে ব্রিটেনের রাজ পরিবার হ্যারি-মেগানের এ ঘোষণায় অপ্রস্ততু অবস্থায় পড়েছেন। লন্ডনে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বলা হয়েছে, হ্যারি ও মেগান এই সিদ্ধান্ত জানানোর আগে রানি বা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। বিষয়টি নিয়ে বাকিংহাম প্যালেস অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে এবং রাজ পরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও আহত হয়েছেন ওই ঘোষণায়।
এর আগে, হ্যারি ও মেগান গত অক্টোবরে বলেছিলেন, রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে তারা বিব্রত। তাদের ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর তিন মাসের মাথায় রাজ পরিবার ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তারা।
হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রাসাদকে বেশ বড় ধাক্কাই দিয়েছে বলে লিখেছেন বিবিসির রাজ পরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা। রয়্যাল করেসপনডেন্ট জনি ডায়মন্ড লিখেছেন, রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি আহত হয়েছেন হ্যারি-মেগান আলোচনা না করে ওই ঘোষণা দেয়ায়।
বাকিংহাম প্রাসাদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হ্যারি-মেগান যে আলাদা জীবন চাইছেন, সেটা তারা বুঝতে পারছেন। তবে এতে জটিল অনেক বিষয় আছে এবং সেসবের সমাধান সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স চার্লস ও লেডি ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। রাজসিংহাসনে উত্তরাধিকারের দিক থেকে তার অবস্থান ষষ্ঠ। তার আগে রয়েছেন প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম ও তার তিন সন্তান।