বুধবার সন্ধ্যার পর বরগুনা নারী শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া দুই আসামি হলেন- ১৪ নম্বর আসামি আরিয়ান শ্রাবণ ও ১১ নম্বর আসামি মারুফ মল্লিক।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী, আসামির স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কাদের বলেন, রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে রিফাত হত্যা মামলার শিশু আসামিদের মধ্যে ১৪ নম্বর আসামি আরিয়ান শ্রাবণ ও ১১ নম্বর আসামি মারুফ মল্লিকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে জামিনের শুনানি শেষে সন্ধ্যার পরে আদালত মঞ্জুরের আদেশ দেন।
বুধবার সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আরিয়ান শ্রাবন ও মারুফ মল্লিকের জামিনের আবেদন করা হয়। মোস্তফা কাদের নিশ্চিত করেন সন্ধ্যার পর জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আরিয়ান শ্রাবনের বাবা ইউনুস সোহাগও জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, শ্রাবনের জামিন হয়েছে। আদালত জামিনের দরখাস্ত মঞ্জুর করেছেন এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি।
বরগুনা নারী শিশু আদালতের পেশকার রিয়াজ হোসেন সন্ধ্যার পরে জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিয়াজ হোসেন মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি মারুফ মল্লিকের আইনজীবী নুরুল আমিন বলেন, আমি রাত ৮টার দিকে নারী শিশু আদালতের পেশকার রিয়াজ হোসেনের কাছে শুনেছি আসামি মারুফ মল্লিকের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এর বেশি কিছু আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি, তবে এসএসসি পরীক্ষার জন্য মারুফে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল বলে আইনজীবী নুরুল আমিন জানান।
বরগুনা নারী শিশু আদালতের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, সকল আসামির জামিন নামঞ্জুর দুপুরে এমনটাই আদালত আমাদের জানিয়েছিলেন।
সন্ধ্যার পরে ওই আসামিদেরই জামিন হয় কি করে জানতে চাইলে বাবুল বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই, তবে আমি এ খবর শুনে হতাশ।
উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলার ১৪ আসামির বিরুদ্ধে বুধবার সকালে চার্জ গঠন হয়। এতে শ্রাবনের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকায় ৩০২ এবং অপরাধীদের পালানোয় সহায়তা করায় ২১২ ও অপরাধের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ১২০বি-১ ধারায় চার্জ গঠন হয়।
এছাড়া মারুফ মল্লিকের বিরুদ্ধেও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০২ ধারায় চার্জ গঠন করেন ওই বিচারক। মামলার চার্জ গঠনের ১০ ঘণ্টার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই আসামিদের একই বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ভুবন চন্দ্র দাস বলেন, ৫টার পরে জামিন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, যেহেতু আমি এই মামলার পিপি না, আগামীকাল বৃহষ্পতিবার আদালতে যাওয়ার পর নিশ্চিত করে বলতে পারবো কি করে এই আসামিদের জামিন দেয়া হয়েছে।