এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যারা ১৫০ দিনের বেশি অতিরিক্ত সময় ওএসডি আছেন, তাদেরকে স্বপদে পুনর্বহালসহ তাদের ক্ষেত্রে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে একটি সার্টিফায়েড প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে ২০১২ সালে ওএসডির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন সাবেক সচিব এম আসাফউদ্দৌলাহ।
রিটে বলা হয়, ১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ এবং সর্বোচ্চ ১৫০ দিন ওএসডি করে রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। তাই ওএসডির বিষয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে।
এরপর ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালতের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে ৯ বছরের একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ২০১৯ সালের ১৩ মে ওই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, সে পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০৫ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। তাদের পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে ১৫০ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৭ টাকা।
এছাড়া রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।