তাপমাত্রা আরও কমেছে। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দেশের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। ঢাকায় সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার কারণে তাপ ছড়াতে পারছে না। রাজধানীর বাইরে বিশেষ করে রংপুরে তীব্র কনকনে বাতাস বইছে। কাল (বুধবার) সারাদেশে একই আবহাওয়া বজায় থাকবে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ছিল দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন অর্থাৎ গত রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ঢাকায় আজ তাপমাত্রা কমেছে আরও ২ ডিগ্রি, আজ তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৫। রবিবার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ চট্টগ্রামে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ ডিগ্রিতে, গতকাল ছিল ১৬ দশমিক ১, রবিবার ছিল ১৮। সিলেটে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি, আজ সেখানকার তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪, সোমবার ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে তাপমাত্রা বেড়েছে, আজ রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৮, রবিবার ছিল ১৫ ডিগ্রি। রংপুরে তাপমাত্রা কমেছে দুই ডিগ্রি, আজ সেখানে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮, গতকাল ছিল ১১, রবিবার ছিল ১৩ দশমিক ৮। খুলনায় আজ তাপমাত্রা ১১, গতকাল ছিল ১২, রবিবার ছিল ১৫ দশমিক ৫। আজ বরিশালে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৪, রবিবার ছিল ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ অবস্থান করছে। এই লঘুচাপের প্রভাবে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, কুড়িগ্রাম, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকতে পারে। সেইসঙ্গে আরও এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘আজকে বেশকিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে। আরও এলাকায় এই প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) দিনের বেলা আকাশ মেঘলা থাকবে। রাতের বেলা তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত এই আবহাওয়া থাকবে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’ তবে দুই-একদিন পর আবারও তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।