তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (শনিবার) এক প্রার্থী এসেছিলেন কিছু অভিযোগ জানাতে। তিনি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ এমন কোনও বক্তব্য না রাখলেও সাংবাদিক আমাকে এসে বলেন—সেই প্রার্থী বলেছেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’। এর বিপরীতে সাংবাদিক আমার বক্তব্য জানতে চান। এধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করা হলুদ সাংবাদিকতা।’’
দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এসব বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ আসবে। উনি অভিযোগ দিয়েছেন—আমরা যাচাই করবো। এরমধ্যে অতি উৎসাহী হয়ে আমার বক্তব্য নিচ্ছে। ইট ইজ ইয়োলো জার্নালিজম। আমাদের কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করবেন না। আমরা বরদাস্ত করবো না। সবাই মিলে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক নির্বাচন চাই। আই মিন ইট। যার যার অবস্থা থেকে দায়িত্ব পালন করবো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণায় ক্যাম্প করতে পারবে, কিন্তু যত্রতত্র করা যাবে না উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাছাইয়ের দিন আমরা প্রার্থীদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সাজিয়ে একটা কাগজ দিয়েছি। সেখানে তাদের স্বাক্ষরও দিয়েছেন তারা। ফলে এসব তারা জানেন না— এটা বলতে পারবেন না। বাছাইয়ের সময় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছিলেন। তারা আচরণবিধি মেনে চলবেন ও সার্বিক সহায়তা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, ‘তারা কথা দেওয়ার মানে তাদের দলও কথা দিয়েছে। অফিস উদ্বোধন করতে পারবেন না এমপি সাহেবরা, এটা তারা জানেন। এমপি প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এমনকি মন্ত্রী মহোদয়ও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা শুরু ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ থেকে। প্রচারণায় সতর্ক থাকতে হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণা শুরু হবে। একই ওয়ার্ডে অনেক মাইক বাজলে সবাই বিরক্ত হবে। একজন প্রার্থী এক ওয়ার্ডে কয়টা মাইক ব্যবহার করতে পারবেন, সেটাও নির্ধারিত আছে। এটা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাস্তবায়ন করবেন।’ তিনি আগেও এরকম নিয়ম করে সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব।’