নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাদ দেওয়ার দাবি জানান তাবিথ। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে নিজের নানা শঙ্কার কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই প্রার্থী।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস রেখে মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। তবে সন্দেহ আছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন কি না।’
‘আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি, অতীতে বিতর্কিত হওয়ায়, ইভিএমের ব্যবহার যাতে না হয়। এই যন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস। শেষ পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। গতবার নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, সেটা একটা প্রতিবাদ ছিল। কেননা, কোনো অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি, কোনো তদন্ত হয়নি। এবারো বলছি, সুষ্ঠু হবে না, তবে গণতন্ত্রের ওপর আস্থা রেখে অংশ নিচ্ছি।’
তাবিথ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তখন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, প্রতিবাদ ছিল। তাই ভোটে দিন বর্জন করেছিলাম। এবার শেষটা দেখে ছাড়বো।’
ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কারিগরি ও আইনি টিম এবং ভোটারদের নিয়ে সংলাপে বসবো। তখনই নির্ধারণ হবে, ইভিএম থাকলে ভোটে থাকবো কি না। আগাম বলা যাবে না। জনগণ অপেক্ষায় আছে। জনগণ অবশ্যই মুক্তির জন্য ধানের শীষকে ভোট দেবে।’
তাবিথের সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, যুবদল ঢাকা উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।