গতবারের চেয়ে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭৪টি। আর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১০টি।
গত বছর শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল চার হাজার ৭৬৯টি এবং শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪৩টি।
সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করা ফলাফলের সার-সংক্ষেপ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৩২৭, রাজশাহীতে ৮২০, কুমিল্লায় ২৩৯, যশোরে ৪৯৬, চট্টগ্রামে ১০২, বরিশালে ৭৮৩, সিলেটে ১৭৬, দিনাজপুরে ২৮৪ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৭৩টি শতভাগ পাস স্কুল রয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ৮৪৩টি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭২৭টি।
অপরদিকে ঢাকা বোর্ডে ২, রাজশাহীতে ২, দিনাজপুরে ৯ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।
এছাড়া কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ডে কোনো শূন্য পাস স্কুল নেই। তবে এক্ষেত্রে বরিশাল বোর্ডের কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
মাদরাসা বোর্ডের ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩টি।
এবার জেএসসি ও জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে পাসের হার জেএসসিতে ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও জেডিসিতে ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বেলা একটায় সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ও জেএসসি পরীক্ষার ফল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনের মাধ্যমে জানা যাবে।
২ নভেম্বর শুরু হয়েছিল জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। দুই পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৯ হাজার ২৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ শিক্ষার্থী।