সাতক্ষীরায় সকাল থেকে হালকা বাতাস বইছে, ফলে জেলা জুড়েই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে সুন্দরবন উপকূলীয় জেলে ও বাওয়ালীরা। বেলা যত বাড়ছে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় শীতার্তদের ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৪৩ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জেলায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বেশি বেড়েছে। তাই শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘জেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৪৩ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আমরা আরো কিছু কম্বল পাবো। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা আমাদের তহবিলে শীত বস্ত্র দিচ্ছেন।’
সমাজের বিত্তবানদের শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।