প্রসঙ্গত, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই দুই জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মনোনয়ন বোর্ডে দুই মেয়রের মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকার দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও নাম ঘোষণা করা হয়।
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, শেখ তাপসকে সংসদ সদস্য ও আতিকুল ইসলামকে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
শেখ তাপস ছাড়াও ডিএসসিসিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেতে ১০জন মনোয়নের আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আলোচিত হলেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, দলের নবনির্বাচিত আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তরে মনোনয়ন আবেদনকারী ১২ জনের মধ্যে গুরুত্বপূ্র্ণ প্রার্থী হিসেবে আতিকুল ইসলামই রয়েছেন। অবশ্যই, আগের সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়ে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী আদম তমিজি হক ও হেলেনা জাহাঙ্গীরও এই সিটিতে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে ফরম কিনেছিলেন।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন নৌকার টিকিট হারালেন।
এর আগে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়ে দক্ষিণে সাঈদ খোকন ও উত্তরে ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক নির্বাচিত হন। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়ায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তিনি মেয়র হিসেবে এক বছরেরও কম সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন।
দুই সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন আবেদন ফরম বিতরণের পাশাপাশি উভয় সিটির ১২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে মনোনয়নের আবেদন গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। এতে মোট ১ হাজার ২৯৩ জন আওয়ামী লীগের সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে উত্তরে ৬২৬ এবং দক্ষিণে ৬৬৭ জন দলটির মনোনয়ন ফরম কেনেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি ও ভোটগ্রহণ ৩০ জানুয়ারি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১৮টি। আর দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ২৫টি।
ঢাকা উত্তর সিটির মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১জন ও দক্ষিণে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। ২০১৯ সালে হালনাগাদের মাধ্যমে যারা ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন, তারা এই সিটি করপোরেশনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।