শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।’ মামলাটি ২৬ ডিসেম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলা দায়েরকারী অর্ণব হোড় বলেন, ‘হামলার দিন নুর ও রাশেদ ফেসবুক লাইভে এসে গুজব ছড়ায়। এছাড়া ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গায়েব হয়ে গেছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। কারা এই ফুটেজ নিয়ে গেছে প্রশাসনসহ কেউ বলতে পারছে না। হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ ভিপি নুরের। তবে প্রথম দিন থেকেই ছাত্রলীগ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। এ ঘটনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে নুরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগটি দায়ের করেন ডিএম সাব্বির নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর ৩৭ জনকে আসামি করে নুরুল হক নুর একটি অভিযোগপত্র দেন শাহবাগ থানায়। এটিও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।