অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় স্পোর্টস চ্যানেল ফক্স এ দশকের সেরা টেস্ট দল তৈরি করেছে। তাদের হয়ে কাজটি করেছেন প্রতিনিধি জ্যাকব কুরুপে। আজই তা প্রকাশ করেছে ফক্স স্পোর্টস।
২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যারা টেস্ট আঙিয়ান অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন তারা সবাই আছেন দলটিতে। ওপেনিংয়ে অ্যালিস্টার কুক ও ডেভিড ওয়ার্নার। কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে আছেন স্টিভেন স্মিথ, বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া তিন পেসারের সঙ্গে আছেন এক স্পিনার। তিন পেসার হচ্ছেন কাগিসো রাবাদা, জেমস অ্যান্ডারসন ও ডেল স্টেইন। একমাত্র স্পিনার হিসেবে আছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন।
এ একাদশে যারা জায়গা পেয়েছেন প্রত্যেকেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন। কুক এ সময়ে ৪৬.৫১ গড়ে ২৩ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৮ হাজার ৮১৮। ডেভিড ওয়ার্নার সমান সেঞ্চুরিতে ৪৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৭ হাজার ৯ রান। এছাড়া অবসরে যাওয়া কুমার সাঙ্গাকারা ১৭ সেঞ্চুরিতে ৬১.৪০ গড়ে ৪ হাজার ৮৫১ রান করেছেন।
স্টিভেন স্মিথ ও বিরাট কোহলিকে না রাখার কোনো কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়ার স্মিথ ২৬ সেঞ্চুরিসহ ৬৩.১৪ গড়ে করেছেন ৭ হাজার ৭২ রান। ভারতের অধিনায়ক কোহলি ২৭ সেঞ্চুরিতে ৫৪.৯৭ গড়ে করেছেন ৭২০২ রান। এছাড়া ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ খ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্স টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়ার আগে ১৩ সেঞ্চুরিতে ৫৭.৪৮ গড়ে করেছেন ৫০৫৯ রান।
এতোসবের ভীড়ে মুশফিকের উপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তুলছে। তবে নিয়মিত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে তার থেকে ভালো করেছেন কম ক্রিকেটারই। ৪০.৮৫ গড়ে মুশফিক ৬ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ২ হাজার ৮৬০। কমপক্ষে ১০০০ রান করা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকুর রহিমের আগে আছেন শুধু বিজে ওয়াটলিং। ডি ভিলিয়ার্স ১ হাজার ৯৭০ ও দিনেশ চান্দিমাল ১ হাজার ৬০২ রান করেছেন। নিউজিল্যান্ডের ওয়াটলিং ৪২.৬০ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ১৯৫ রান। মুশফিকের থেকে এগিয়ে থেকেও কেন ওয়াটলিং দল পেলেন না?
লেখকের ভাবনা, চলতি দশকে যে দলগুলো টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করেছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং ঘরের মাঠে বাংলাদেশ হারিয়েছে বড় বড় দলগুলোকে। সাফল্যের পেছনে তামিম, সাকিব ও মুশফিকের রয়েছে অবদান। ওপেনিংয়ে তামিমের সুযোগ নেই কোনোভাবেই। দল সাজানোর সময় সাকিব নিষেধাজ্ঞায়। তাই মুশফিককে বেছে নেওয়া হয়েছে।
স্পিনার অশ্বিন ২৫.৩৬ গড়ে এ দশকে উইকেট নিয়েছেন ৩৬২টি। ২৭ বার পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। তিন পেসারের মধ্যে ডেল স্টেইন পেয়েছেন সবথেকে বেশি উইকেট। ২২.২৯ গড়ে তার উইকেট ২৬৭টি। ১৫ বার পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার ৪২৭ উইকেট। ২০বার পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ১৮৩ উইকেট পেয়েছেন ২২.৫০ গড়ে।
অনেকেরেই ভাবনা এ দলে কেন নেই কেন উইলিয়ামসন? লেখক বললেন,‘আনলাকি।’ ১২তম খেলোয়াড় হিসেবে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ককে রেখেছেন তিনি।