৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:০০

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে হামলা শহীদদের প্রতি অবমাননা: কামাল

‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠনের তথাকথিত কর্মীরা রবিবার ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে এটাকে বর্বর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলেছেন, ‘তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যে জঘন্য ও বর্বর হামলা করেছে তা লাখো শহীদের প্রতি চরম অবমাননা।’

সোমবার দুপুরে মতিঝিলের নিজের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. কামাল।

নতুন বছরে সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যা যা করার সব করবেন জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘এই বিনা ভোটের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষ আজ গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, এবিএম সোহেল, হাসান আল মামুন, রাশেদ খান ফারুকসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। কেউ কেউ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।’

গণফোরাম প্রধান বলেন, ‘এই বছরের শেষে একদলীয় এক ব্যক্তির শাসনকে কেন্দ্র করে তারা পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে অকল্পনীয় কাজ করছে। সংবিধানের ওপর আজ  আক্রমণ হচ্ছে। আজ কি দেশে গণতন্ত্র আছে? এই প্রশ্ন দেশের মানুষের কাছে আমরা রাখছি। গণতন্ত্রের মধ্যে থেকে কি এগুলো করা যায়? পেশিশক্তি ব্যবহার করে একটি নির্বাচিত নেতার ওপর কি এভাবে আক্রমণ করা যায়? দেশে এখন নজিরবিহীন জিনিসগুলো ঘটতে শুরু করেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই ঘটনায় যথাযথ বিচার করা হবে। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘উনি কি নিজের বিচার শুরু করবেন? নিজেকে আসামী ঘোষণা করে বিচার করলে একটা কথা হবে। এদের কাছে কোনো বিচার চেয়ে লাভ নেই।’

মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চের বিষয়ে জেএসডির সভাপতি আ স ম রব বলেন, ‘এই যে মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চের কথা বলা হচ্ছে, এটা কিসের মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চ। এদের বাবাদেরওতো জন্ম হয়নি একাত্তর সালে। ছাত্রলীগই এই হামলা চালিয়েছে। সারাদেশে এর বিরুদ্ধে অদলীয় ছাত্র পরিষদের যে দাবি আমরা এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি এবং সমর্থন করছি।’

ঐক্যফ্রন্ট সব সময় বলে প্রতিবাদ আন্দোলন করবে। কিন্তু ফ্রন্টের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান আন্দোলন নেই কেন? এমন প্রশ্নে জবাবে রব বলেন, ‘প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে আমরা অনুমতি চাইলে আমাদের কোনো অধিকারই দিচ্ছে না এই সরকার। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করব।’

দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রব বলেন, ‘আমরা আজকে জরুরি বৈঠকে বসেছি। সব নেতৃবৃন্দ আসতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে আমরা আবার বৈঠক করে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।’

বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ প্রমুখ।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ