ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, ৮১টি আসনের মধ্যে বিরোধী দল কংগ্রেস, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) জোট ৪০ টি আসনে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র ৩১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
দেশটির পার্লামেন্টে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর বিক্ষোভের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে ৩ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে বিলের বিরুদ্ধে মানুষের তীব্র প্রতিবাদের প্রভাব পড়তে পারে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে আঞ্চলিক দল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এজেএসইউ) সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্য বিধানসভার ৮১টি আসনের মধ্যে ৪১টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে একটি বেশি ছিল। অন্যদিকে অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন পেয়েছিল মাত্র ৫টি আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি আসন।
ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিষয়গুলো প্রাধান্য পেলেও সেখানে বিজেপির পরাজয় হলে তা দলটির নীতিগত পরাজয় বলেই বিবেচনা করা হবে। এ কারণে ঝাড়খন্ডের নির্বাচনী ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পুরো দেশ।
বিশ্লেষকদের ধারণা অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু) এর সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার কারণেই নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে বিজেপি’র। কারণ ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে শতাংশের হিসেবে প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় খুব বেশি হেরফের না হরেও বিজেপির আসন কমেছে বেশ কয়েকটি। আবার প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে আজসুর। ফলে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে যে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো তা স্বীকার করেছেন বিজেপি’র শীর্ষ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
গত বছর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভার নির্বাচনেও কংগ্রেসের নিকট পরাজিত হয়েছিল বিজেপি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে বিজেপি’র জাতীয় মুখপাত্র বিজয় সোনকর শাস্ত্রি বলেন, ‘‘ঝাড়খন্ডের ফলাফল সম্পর্কে যা আশা করা হয়েছিল অনুরুপ ফলাফল লাভে ব্যর্থ হয়েছি। কারণ বিজেপির লক্ষ্য ছিল ৬৫টি আসন। ফলে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, বিজেপি তার উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বিষয়ে ঝাড়খন্ডের জনগণকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।’’