ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদ আছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত নুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম নৃশংস হামলা কীভাবে হয়, এটাই আমরা বুঝতে পারলাম না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রশাসন আছে বলে আমাদের মনে হয় না। অথবা প্রশাসন নিজেই হামলার মদদদাতা।
তিনি বলেন, প্রশাসনের (ঢাবি প্রশাসন) যদি কোনো প্রশাসনিক চরিত্র থাকত, তাহলে এভাবে ছাত্রদের ওপর কোনো একটি পক্ষের লাইট অফ করে হামলার মতো ঘটনা ঘটত না। এই হামলা অত্যন্ত নৃশংস ছিল।
রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন ভিপি নুর। ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া, বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছোঁড়েন। হামলায় অন্তত২০ জন আহত হন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কয়েকটি বক্তব্য শুনেছি। প্রক্টর ডাকসুর ভিপির কয়েকটি বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত একজন ভিপি কী বক্তব্য দেবেন, এটা প্রক্টর নির্ধারণ করবেন না। একজন ভিপি শিক্ষাঙ্গন, সারা দেশ, এমনকি সারা বিশ্ব নিয়ে কথা বলতে পারবেন। এটি তার স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে প্রক্টর ভিপির বক্তব্যের ওপর যে মন্তব্যগুলো করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, এই হামলায় তার সমর্থন আছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রক্টরের কাজ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীরা কী আন্দোলন করবে, সেটি নির্ধারণ করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বর্তমান ভূমিকা দেখে, তারাই যে এই হামলাগুলো করাচ্ছে না, এটি আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।’