টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শনিবার তোফাজ্জল হোসেন তোতার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন ও তার প্রেমিক উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় প্রেমিককে নিয়ে সাথী খাতুন স্বামী তোতাকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা করেন।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে সাথী খাতুন (৩১), পাথালিয়া গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে উজ্জ্বল (২৯) এবং একই গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিলকে (৪৫) আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাথী খাতুন তার বাবার গ্রামের উজ্জ্বলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন। বিষয়টি তোতা জানার পর তাতে বাধা দেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশে শ্বশুর বাড়ি পাথালিয়া গ্রাম থেকে তোতা বের হয়ে আর ফিরে আসেনি দাবি করে সাথী খাতুন শুক্রবার কালিহাতী থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করেন।
কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, সাথী খাতুন এবং তার প্রেমিক উজ্জ্বল মিলে তোতাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রাখে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।