মালয়েশিয়ায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মেলন শেষে মাহাথির অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান ও কাতারের অর্থনীতি পরিচালনার প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে যে কোনো হুমকির মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের স্বাবলম্বী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাহাথির বলেন, ‘বিশ্বের সাক্ষী দেশগুলো একতরফাভাবে এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশগুলোর সবসময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমাদের যে কারো ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে’।
সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর প্রায় দুই বছর ধরে কাতারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। দোহা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। আর সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের ওপর খোদ যুক্তরাষ্ট্র গত বছর থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।
মধ্যযুগে ইসলামি দেশগুলোতে প্রচলিত স্বর্ণমুদ্রার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে মাহাথির বলেন, ‘আমি স্বর্ণের দিনার ও বিনিময় বাণিজ্য ধারণাটি পুনরায় ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছি এবং আমরা আশাবাদী যে এটি কার্যকরে আমরা একটি প্রক্রিয়া বের করেত সমর্থ্য হব’।
বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টিকারী মুসলিম ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য গত বুধবার থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে শুরু হয় চার দিনব্যাপী ইসলামি সম্মেলন। তবে ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরব এ সম্মেলনে যোগ না দিয়ে বরং নিন্দা করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানও এই সম্মেলনে যোগ দেয় নি।