মুলতানে বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে ভিজিটিং লেকচারার ছিলেন জুনায়েদ। কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। মুলতানের আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। বিচারকার্য শেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন অতিরিক্ত সেশন জজ কাশিফ কাইয়ুম।জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে। নিউ সেন্ট্রাল জেল মুলতানে উচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত ওয়ার্ড নাম্বার দুইয়ে রাখা হয়েছে হাফিজকে।
২০১৪ সালের মে মাসে কট্টরপন্থীরা প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে হাফিজের প্রথম আইনজীবীর অফিসে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। হাফিজের বর্তমান আইনজীবী নিজেও কট্টরপন্থীদের হুমকির মুখে রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে তিনি লাহোর হাইকোর্টে আপিল করবেন। তার আশঙ্কা, এমন বাস্তবতায় কোনও বিচারক ন্যায়বিচার করার ঝুঁকি নেবে না।
সরকার পক্ষের আইনজীবীরা এই রায়ের পর ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে সহকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন। রায়ের পর যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, এই রায় ন্যায়বিচার পরিপন্থী। এতে তারা অত্যন্ত হতাশ।
এ বছরের শুরুতে সাবেক প্রধান বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার কাছে সন্তানকে মামলা থেকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন হাফিজের পিতামাতা। তারা ছেলের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।