ভারতে গত ১২ ডিসেম্বর কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। এতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ।
বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ ও সামবালে বিক্ষোভে সহিংসতায় তিন জন মারা যাওয়ার পর শুক্রবার পুরো উত্তর প্রদেশই থমথমে হয়ে পড়ে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ৩৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। জুমার নামাজ ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সভা সমাবেশের ওপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তা অমান্য করে নামাজের পর রাজ্যের ১৩টি জেলায় শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের তরফে ছয় বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। পরে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর দেয় প্রশাসন। এর মধ্যে তিন জন মিরাটে, দুই জন বিজনরে আর বারানসি, ফিরোজাবাদ, সামবাল ও কানপুরে এক জন করে নিহত হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক ওপি সিং বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের দিকে আমরা একটা গুলিও ছুড়িনি। কোনও গুলি চললে তা বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত জুড়ে চলা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। এছাড়া দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামেও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

