দুই বিমানবন্দর সূত্র জানায়, নির্ধারিত কয়েকটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারণে যথাসময়ে উঠানামা করতে পারেনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কেটে যাওয়ায় আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে বিমান চলাচল।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিনিয়র এয়ার ট্রাফিক অফিসার এস এম ওহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ভোর ৪টা থেকে সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। এ কারণে বেশ কিছু ফ্লাইট ঢাকায় না নেমে কলকাতায় চলে যায়। গালফ এয়ারের ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৩ মিনিটে সবশেষ অবতরণ করে।
এদিকে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে শনিবার সকাল ৮টার দিকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে আসাতে দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর ৪টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া সেক্টরের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার প্রকাশিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙা ও যশোরের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় অবস্থায় দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি অথবা গুড়িঁ গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৬ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।