দূষণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। এরপরেই রয়েছে প্রতিবেশী চীন ও নাইজেরিয়া। বাতাস, পানি ও কর্মস্থানে সংক্রামকের বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে এক প্রতিবেদনে বুধবার এমন তথ্য দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও গার্ডিয়ানের খবর বলছে, স্বাস্থ্য ও দূষণ বিষয়ক বৈশ্বিক জোটের (জিএএইচপি) প্রতিবেদন অনুসারে এই গ্রহে অকাল মৃত্যুর বড় পরিবেশগত কারণ হতে যাচ্ছে দূষণ।
২০১৭ সালে দূষণ আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটার ১০টি দেশের মধ্যে দরিদ্র দেশের পাশাপাশি কয়েকটি বৃহৎ ও ধনী দেশও রয়েছে।
দূষণআক্রান্ত মৃত্যুতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত ও চীন। এ কারণে দেশদুটি যথাক্রমে তেইশ ও আঠারো লাখ লোকের মৃত্যু হচ্ছে। এরপরে নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান রয়েছে।
৩২ কোটি লোকের যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখের মতো লোক দূষণআক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দূষণআক্রান্ত দেশের তালিকায় সাত নম্বরে রয়েছে দেশটি।
জিএএইচপির নির্বাহী পরিচালক রাচেল কুপকা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে দূষণ একটি বৈশ্বিক সংকট। আপনি কোথায় বাস করছেন, এটা কোনো ব্যাপার না, দূষণ আপনাকে খুঁজে বের করবে।
বিশ্বের কয়েকটি দরিদ্রতম দেশে দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে পানি ও ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত হওয়ার কারণে বড় সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মধ্য আমেরিকার দেশ চাদ ও উত্তর কোরিয়া তাদের অন্যতম।
প্রতিবেদন বলছে, ভারতে নগরায়নের শিল্প-কারখানা ও যানবাহন সংক্রান্ত দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা খুবই দুর্বল।
ওজনস্তরসহ গৃহের ভেতর ও বাইরের মিলিত সংক্রমণই বায়ু দূষণের প্রতিনিধিত্ব করছে। দুর্বল স্বাস্থ্যসুরক্ষায় পানি দূষণ হচ্ছে।