ফখরুল বলেন, ‘৪৮ বছর পরে রাজাকারের তালিকা কী প্রয়োজনে তৈরি করা হয়েছে? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।’
র্যালি উদ্বোধনের পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নাইটেঙ্গেল-কাকরাইল মোড় হয়ে মালিবাগে যায়। এসময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
এসময় বিজয় দিবসের ব্যানারের পাশাপাশি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলের খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ছিল র্যালিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের হাতে। নেতাকর্মীরা র্যালিতে ‘এক দফা এক দাবি-খালেদা জিয়ার মুক্তি’, ‘মহান নেতা তারেক রহমান, আসছেন আসছেন’, ‘জেলের তালা ভাঙবো খালেদা জিয়াকে আনবো’ এবং সরকারের সমালোচনা করে নানা স্লোগান দেন।
এদিকে র্যালিকে ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন তৎপর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণের মুক্তি এখনো আসেনি। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। স্বাধীন দেশে মানুষ আজ দিশেহারা। আজ এক বুক বেদনা আর ক্ষোভ নিয়ে বিজয়ের এই র্যালিতে অংশ নিয়েছি।’
‘স্বাধীনতার চেতনা ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের চেতনা, আকাঙ্ক্ষাকে দখলদার সরকার লুট করে নিয়েছে। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদেরকে কারাগারে থাকতে হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে এই সরকার।’
ফখরুল বলেন, ‘৪৮ বছর পরে রাজাকারের তালিকা কী প্রয়োজনে তৈরি করা হয়েছে? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। প্রকৃত রাজাকারকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তালিকা করেছে সরকার।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্রও মুক্ত হবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
র্যালিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশ নেন।