শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ভিড় বাড়ছে।নিম্ন আয়ের লোকজনের ভরসা ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের ওপর। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)আছাদুজ্জামান বলেন, ‘দুইটি উপজেলার চা শ্রমিক ও গরিব দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’
শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। শীতবস্ত্রের যে দাম আমাদের পক্ষে শীতের নতুন কাপড় কেনা সম্ভব নয়। আমরা প্রতি বছর খোলা বাজার থেকে শীতবস্ত্র কিনে ঠাণ্ডা নিবারণ করি।’ একই কথা বলেন রওশন আরা,সাথী বেগম,রাখি বেগম।শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ড.সুব্রত সিংহ বলেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন ২০-২৫টি শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বর, ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, শীতার্ত, দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছেন।
শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের বড় গাঙিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিন্নত আলী জানান, শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইক্কা বিলে কিছু কিছু করে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখি দেখতে দর্শনার্থীরাও আসছেন। শুক্র, শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোয় পর্যটক, দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি থাকে।