রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
স্বজনরা জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় শান্তকে পাওয়া যায়। এর আগে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানির জন্য প্রেমিকার মা-বাবাকে দায়ী করে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডি শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন শান্ত। তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
শান্তর বাবা রিপন জানান, শান্তর সঙ্গে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৬ নভেম্বর মেয়েটি আমার বাড়িতে চলে আসে। এরপর তার বাবাসহ স্বজনরা নিতে এলেও মেয়েটি যায়নি। তখন মেয়েটিকে মারধর করে চলে যায় তারা।
এরপর মেয়েটির বাবা কোতোয়ালি থানায় অপহরণ মামলা করলে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার শান্ত ছাড়া পায়। এরইমধ্যে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায় তার মা-বাবা।
আত্মহত্যার আগে শান্ত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার মৃত্যুর জন্য প্রেমিকার মা-বাবাকে দায়ী করেছে বলে জানান তিনি।
সোমবার সকালে সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।