রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের পূর্বদিকে কালিবাড়ি-ইলিয়ট ব্রিজ রোডে এ ঘটনা ঘটে। র্যালিতে হামলার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে।
আহতদের মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরু মুন্সীর ছেলে সোহাগ মোল্লা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিটলার শামিম, মোহাম্মদ আলী স্বপন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইকুল হাসান, জিব্রাইল হোসেন, ফিরোজ আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম এবং সদর থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক আবু জাফর নয়ন রয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরা মুর্যালের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে একটি বিজয় র্যালি বের করা হয়। এতে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যোগ দেন। র্যালিটি ইলিয়ট ব্রিজ-কালিবাড়ি রোডে ওঠা মাত্রই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় আমি নিজেসহ কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু স্থানীয় নেতাকর্মীদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিজয় র্যালি থেকে সরকারদলীয় লোকজন বিএনপির ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তারা জেলা বিএনপির পার্টি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বেশ ক’টি দোকানপাট ভাঙচুর করে। বিষয়টি ন্যক্কারজনক। পুলিশ যদি বরাবরই এক দলের পক্ষে কাজ করে, তাহলে গণতন্ত্র থাকে কোথায়?’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোরকান শিকদার বলেন, পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর উল্টো হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।