বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ২০২০ সালের হজ চুক্তিকালে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাবিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন। উভয় দেশের কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ; কনসাল জেনারেল, জেদ্দা এফ এম বোরহান উদ্দিন ; কাউন্সেলর (হজ), জেদ্দা মো. মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে হজযাত্রীর কোটা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
২০২০ সাল থেকে অতিরিক্ত ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোর জন্য এ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।
হাবের সভাপতি জানান, হজচুক্তিতে প্রতি এজেন্সির সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠানোর নিয়ম বহাল রয়েছে। সৌদি আরব অংশের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পরিচালিত সকল ফ্লাইটের জন্য করার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। মীনা, মুজদালিফা ও আরাফায় সৌদি সার্ভিসের মান বৃদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি সরকার।
বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রস্তাবই সৌদি সরকার গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন হাবের সভাপতি।
হজচুক্তি করতে সোমবার সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সৌদি আরবে যায়। ৭ ডিসেম্বর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।