মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করা হলো।
সোমবার একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না।’
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তখন তিনি বলেন, ‘অনেকেই মামলার তালিকা ওপর-নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না। বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। তবে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। পরে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।