হাইকোর্টের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর গেল ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর চার আসামি হলেন- অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর, অ্যাডভোকেট তৌহিদ, ফিরোজ কিবরিয়া ও রিয়াজ।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমানের সাত দিন রিমান্ড আবেদন এবং অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমানের রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন। অপর ৫ আসামির জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত মোস্তাফিজুর রহমানের রিমান্ড নামঞ্জুর করে চার কার্যদিবসের মধ্যে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। আর ৫ আসামির জামিন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ ও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই মতিউর রহমান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটিতে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মো. হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও জাতীয়তাবাদী হকার্স দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে বুধবার মামলাটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।