নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণ করেই দায় সেরেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসি’র নির্ধারিত দামে রাজধানীর বাজারগুলোতে মিলছে না মাংস। তাই আক্ষেপের শেষ নাই ক্রেতাদের। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ডিএসসিসি’র নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে হলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
জানা যায়, গত ২৩ মে মাংসের দাম নির্ধারণ করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসি’র নির্ধারতি দর অনুযায়ী, গরুর মাংস ৪৭৫ টাকা, বিদেশি গরুর মাংস ৪৪০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৪০ টাকা, খাসি ৭২৫ টাকা, ছাগল ও ভেড়ার মাংস ৬২০ টাকা কেজি বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্ধারিত দাম অবশ্য ২৬ রমজান পর্যন্ত থাকবে বলে ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়।
কিন্তু শনিবার রাজধানীর রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি হচ্ছে না। বরং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার মাংস নাই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, ব্রয়লার সাদা মোরগ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাল ১৮০ টাকা, কক হালি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার অস্থিতিশীল হলেও গেল সপ্তাহের তুলনায় বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। যদিও বেগুন, শসা, গাজর, কাঁচামরিচের দাম তেমন কমেনি।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬৫-৭০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ১৬-১৮ টাকা, পেয়াজ প্রকার ভেদে ২০-৩৫ টাকা, দুন্দল ৪৫, ঝিঙ্গা ৪০, করলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, চিচিংগা ৩৫ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাজহারুল ইসলাম নামে ক্রেতা সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশন শুধু হাঁকডাকই দিতে পারে। বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা শূন্য।
তিনি বলেন, রোজার আগে মাংসের দাম ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু মাংস ৫৫০ টাকার বেশিও বিক্রি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কোনো নজরধারী নাই। যদি নজরধারী নাই করবে তাহলে দাম নির্ধারণের কারণ কি?
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ