১১ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার সকাল ৮টায় মিলের উৎপাদন বন্ধ করে পাটকলের প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক ছয়দিনের আন্দোলনের দ্বিতীয়দিনে এ কর্মসূচি পালন করে।
বকেয়া মজুরি পরিশোধ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পিএফ গ্র্যাচুইটির টাকা প্রদান, শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি নিয়মিত পরিশোধ, পাট মৌসুমে পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এ এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সকালে ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, খালিশপুর, দিঘলিয়া, আলীম, ইস্টার্ণ, কার্পেটিং ও জেজেআই জুটমিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে স্ব-স্ব মিল গেটে সমবেত হয়। সেখানে শ্রমিকরা পৃথক পৃথকভাবে মূল ফটকের সামনে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। কর্মসূচি চলাকালে মিল গেটগুলোতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন, প্লাটিনাম মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা সারমিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, খালিশপুর জুটমিল সিবিএর সভাপতি আবু দাউদ দীন মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শেখসহ সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর সকালে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাস্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের শ্রমিকরা আলাদা গেট সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বকেয়া মজুরি পরিশোধ পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে ৬ দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে।