এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য তারিখ পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ আদালত।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতই অসুস্থ যে তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা দরকার। মানবিক কারণে তিনি জামিন পাবেন এই গ্রাউন্ডে আমরা জামিনের প্রার্থনা করেছি। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আমরা আবেদন করেছিলাম। চেম্বার আদালত সেটি শুনানির জন্য আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।’
‘আজ আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় থাকলেও আপিলের সব বিচারপতিকে নিয়ে শুনানি করবেন বলে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন।’
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চে খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্ট।