প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবৈধ লেনদেন বন্ধে ব্যাংকগুলো ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন অনলাইন ক্যাসিনো, ফরেক্স ট্রেডিং, বিদেশি শেয়ারবাজারে লেনদেন, ক্রিপ্টো মুদ্রা, বিদেশি লটারি ও বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য ক্রেডিট কার্ড দিয়ে না কেনা যায়।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্তর্জাতিক লেনদেনে কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, বিদেশি অবৈধ লেনদেন করা যাবে না। পাশাপাশি কার্ডে কী ধরনের লেনদেন হচ্ছে, গ্রাহককে তারও হিসাব রাখতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা একটি ফরমও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে শনিবার (২৩ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নজরে এসেছে। তিনি এটি দ্রুত সমাধান করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’ ফ্রিল্যান্সারদের কল্যাণে ও আইটি সেক্টরের প্রসারে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কড়াকড়ি শিথিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
বিদ্যমান নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী এককভাবে কোনও পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। গত জুনে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জুন মাসে ২০ লাখ ৮৫ হাজারবার কার্ড ব্যবহৃত হয়েছে।