বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভালো। ষষ্ঠ ওভারে উমাইর ইউসুফকে (৪) ফিরিয়ে ১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সুমন খান।
অষ্টম ওভারে আরেক ওপেনার হায়দার আলীকেও ফেরান তরুণ পেসার সুমন। ২৩ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করা হায়দারের ক্যাচ নেন নাঈম শেখ। ৪১ রানের মধ্যে পাকিস্তান হারায় দুই ওপেনারকে।
এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়েন রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজন যোগ করেন ১১৭ রান। ৮৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করা রফিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান।
নাজির তুলে নেন সেঞ্চুরি। তাকে থামান হাসান মাহমুদ। ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় নাজির করেন ১১৩ রান। ৪৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৫ রান।
টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট পায় বাংলাদেশ। ফাইনালের আগে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ হারেনি, জিতেছে নিজেদের চারটি করে ম্যাচেই।
মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট হলেও এর বেশি বয়সি চারজন খেলোয়াড় খেলানোর নিয়ম আছে। বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন তাই সৌম্য সরকার। টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে দারুণ ফর্মেও আছেন সৌম্য। খেলছেন ইয়াসির আলী রাব্বী, মেহেদী হাসানও ।