গত চার দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন শ্রমিকরা এ ধর্মঘট পালন করলেও আজ শুরু হয়েছে রাজধানীতে।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন সংকট দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন অফিসগামী এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে আসা মানুষ। সড়কে অসংখ্য মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো সড়কে প্রায় দেখাই যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোড, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে কিছু গাড়ি চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ছিল ফাঁকা। নামমাত্র বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
গাজীপুর থেকে মিরপুরে অফিসে আসেন ইসমাইল নামে এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘সকালে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর একটা বাস পাই। যাতে করে বেড়িবাঁধ যাই। সেখান থেকে ২০০ টাকা দিয়ে অন্য গাড়িতে করে মিরপুর মাজার রোড অফিসে পৌঁছায়। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
আবদুল্লাহ পুর থেকে মিরপুর ১০ নম্বরে আসেন সাইফ নামে একজন। তিনি জানান, আবদুল্লাহপুর থেকে সরাসরি কোনো বাস আসেনি। কয়েক দফা গাড়ি পরিবর্তন করে এখানে আসতে হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে জানা গেছে। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা।
পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার মতো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সকালে কিছু গাড়ি বের করা হয়েছিল বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য কিন্তু খবর পেয়েছি ট্রাক শ্রমিকদের জন্য গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।’