নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধের পর এবার সারাদেশে ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা এসেছে। বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত করে সংশোধনের জন্য ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে। সংগঠনটি আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ডে অবস্থিত পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মোটরযান আদেশ-১৯৮৩ এবং মোটরযান বিধিমালা-১৯৮৪ এর যুগোপযোগী পরিবর্তন চায়। তবে ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে কার্যকর হওয়ায় সড়ক পরিবহন আইন পরিবহন শিল্পকে ধ্বংসের একটি সূক্ষ্ম নীল নকশা এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশাল জনগোষ্ঠীকে বর্তমান স্থিতিশীল সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর পাঁয়তারা করছে।’
রুস্তম আলী খান আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক বা শ্রমিক একা দায়ী নয়, এজন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাই শুধু চালক বা শ্রমিকদের দোষারোপ করলে চলবে না।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত করে মালিক শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জরিমানা বিধান ও দণ্ড উল্লেখ করে আইন সংশোধনের পর একটি যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, সড়ক সংশ্লিষ্ট যতগুলো কমিটি রয়েছে সেগুলোতে শ্রমিক প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত কোনও মামলায় চালক আসামি হলে তা অবশ্যই জামিনযোগ্য ধারায় হতে হবে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষী নির্ণয় করতে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিদের সংযুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক গঠিত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় কোনও গাড়ির মালিককে হয়রানি করা যাবে না, এগুলোসহ নয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে তেজগাঁও এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের আইন সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সেখান থেকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাচ্ছে না। এই টার্মিনালে অঘোষিতভাবে বেলা ১১টার পর থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে।
জানতে চাইলে ইমাম সার্ভিস লি. এর চালক আইয়ুব আলী বলেন, আমরা মালিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে শ্রমিকরা নিজেদের স্বার্থে কর্মবিরতি পালন করছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ডে অবস্থিত পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মোটরযান আদেশ-১৯৮৩ এবং মোটরযান বিধিমালা-১৯৮৪ এর যুগোপযোগী পরিবর্তন চায়। তবে ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে কার্যকর হওয়ায় সড়ক পরিবহন আইন পরিবহন শিল্পকে ধ্বংসের একটি সূক্ষ্ম নীল নকশা এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশাল জনগোষ্ঠীকে বর্তমান স্থিতিশীল সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর পাঁয়তারা করছে।’
রুস্তম আলী খান আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক বা শ্রমিক একা দায়ী নয়, এজন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাই শুধু চালক বা শ্রমিকদের দোষারোপ করলে চলবে না।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত করে মালিক শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জরিমানা বিধান ও দণ্ড উল্লেখ করে আইন সংশোধনের পর একটি যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, সড়ক সংশ্লিষ্ট যতগুলো কমিটি রয়েছে সেগুলোতে শ্রমিক প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত কোনও মামলায় চালক আসামি হলে তা অবশ্যই জামিনযোগ্য ধারায় হতে হবে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষী নির্ণয় করতে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিদের সংযুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক গঠিত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় কোনও গাড়ির মালিককে হয়রানি করা যাবে না, এগুলোসহ নয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে তেজগাঁও এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের আইন সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সেখান থেকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাচ্ছে না। এই টার্মিনালে অঘোষিতভাবে বেলা ১১টার পর থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে।
জানতে চাইলে ইমাম সার্ভিস লি. এর চালক আইয়ুব আলী বলেন, আমরা মালিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে শ্রমিকরা নিজেদের স্বার্থে কর্মবিরতি পালন করছে।