শনিবার সকাল নয়টার দিকে জেলার শহরতলীর মুন্সিবাজার এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল নয়টার দিকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। নয়ন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ওসি জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না নয়নকে। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ গতকাল ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
নয়নের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত দিলীপ চন্দ্র নাথ।
নয়নের বন্ধু মো. ওয়াকিফ উল আলম গতকাল জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই নয়ন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তার ইচ্ছে ছিল একজন সার্জন হওয়ার। কিন্তু আঙ্গুলে সমস্যা থাকার কারণে সার্জন হতে পারবে না এমনটা জানার পর থেকেই নয়ন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবারের সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, সেদিন সকাল নয়টার দিকে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি শার্ট পড়ে ছাত্রাবাস থেকে বের হয় নয়ন। এসময় তিনি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ রুমে রেখে যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার নয়নের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। দুপুর একটার দিকে ছাত্ররা আমাকে জানায় নয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এছাড়া বিষয়টি র্যাব, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, মহাপরিচালক-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ঊর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়।