২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৪১

শর্ত মানলে ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি গ্রামীণফোন

শর্ত মানলে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে দুইশত কোটি টাকা বিটিআরসিকে দিতে রাজি আছে বলে আদালতকে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে গ্রামীণফোনের আইনজীবী এ কথা জানান।

গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আদালতে বলেন, গত ৩ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমাদের ব‌্যবসার বাধা দূরকরণে কিছু শর্ত দিয়েছি। তারা শর্তগুলো মানলে আমরা ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি আছি।

তবে বিটিআরসির আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের কাছে গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ের ওপর ‍নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়েছেন।

এদিকে বিটিআরসির আরেক আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই রাব্বী সাংবাদিকদের বলেছেন, গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে অর্ধেক টাকা দিতে সম্মত হলে আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি।

এ অবস্থায় আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার দিন নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণ ফোন আপাতত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কত টাকা দিতে পারবে তা জানাতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

গত ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন  নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি।

এর আগে প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে গ্রামীণফোনকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। এই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে। এরপর গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।

পরে ওই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই মাসের জন্য গ্রামীণফোনের কাছ থেকে টাকা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেন হাইকোর্ট।

প্রকাশ :নভেম্বর ১৪, ২০১৯ ১:০০ অপরাহ্ণ