ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে দুদকের আরেক ডিডি সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের আলোচিত প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। গত ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালায় র্যাব। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে সম্রাটের অফিসে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানায় হয়।
পরে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে সেদিন রাতেই তাকে কেরাণীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়।