মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে দুই নম্বর ভবনে অবস্থিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূইয়া এ তথ্য জানান।
বেগম খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। সেজন্য অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করি। এরপর বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।