এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল কিছুদিন আগে। এবার রানী সেই পরিচালক মাসুদ পথিকের নামে হাতিরঝিল থানায় জিডি করেছেন। জিডি নাম্বার ৩৩৫।
নুপুর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘মায়া’ সিনেমার জন্য পরিচালক মাসুদ পথিক আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু দৃশ্যের কথা শুনে প্রথমে রাজি হইনি। তিনি আমাকে অভিনয়ের সুযোগ দিবেন- এই আশ্বাসের পর সেদিন শুটিং স্পটে গিয়েছিলাম। গল্পের একটি দৃশ্যের প্রয়োজনে ব্লাউজ খুলে শুধু পেটিকোট পরে শট দিয়েছি। ওইদিন ক্যামেরার সামনে আমাকে দিয়ে অভিনয় করানো হয়নি। এরপর পরিচালক বললেন, দু’দিন পরে আবার কল দিব। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই দু’দিনের অপেক্ষা আমার শেষ হয়নি।’
এরই মধ্যে ‘মায়া’ সিনেমার পোস্টার, টিজার প্রকাশ হয়েছে। কোথাও নুপুরের নাম এমনকি তার মুখমণ্ডল ব্যবহার করা হয়নি বলে নুপুর অভিযোগ করেন। অথচ পোস্টারে নুপুরের পেটিকোট পরা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ধারণা করা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ সেখানে অন্য কোনো অভিনেতার ছবি নেই।
নুপুর আরো বলেন, ‘আমার ছবি দিয়ে সিনেমাটির মার্কেটিং হচ্ছে। অথচ কোথাও আমার নাম নেই। আমি কষ্ট পেয়েছি। আর এ কারণেই পরিচালকের নামে থানায় জিডি করেছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে মাসুদ পথিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্ম ‘নারী’ এবং কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘মায়া’। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুমতাজ সরকার (কলকাতা) ও জ্যোতিকা জ্যোতি।