সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, যারা এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। ঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে যেন চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়, তার জন্য সিআইডিকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে কি কি চুরি হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
জানা গেছে, লকারে থাকা ৩০ কেজি সোনার মধ্যে ১৯.৩৮ কেজি সোনা চুরি হয়েছে। গোডাউনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক ছিল এবং গোডাউনের নিরাপত্তায় থাকা কারও সহযোগিতায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এছাড়া ছুটির তিন দিন সিসি টিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল।
এদিকে বিষয়টির তদন্ত করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
গোডাউনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনাপোল থানা পুলিশ আটক করেছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় লকারের কক্ষে ঢুকে সংঘবদ্ধ চোর চক্র সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেয়। এরপর চুরির ঘটনা ঘটায়। ওই লকারে কাস্টমস, কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করা সোনা, ডলার, বৈদেশিক মুদ্রাসহ মূল্যবান দলিল ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। ওই ভবনটিতে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষার কাজটি করে থাকেন।