ঘূর্ণিঝড় বুলবুলির হানার রাতে খুলনার মোংলা উপজেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই নারী দুটি সন্তান প্রসব করেছেন।
মোংলা উপজেলার উপকূলীয় এলাকার মিঠাখালী গ্রামের এটিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হনুফা বেগমের কোল আলো করে আসে এক শিশু কন্যা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নামানুসারে নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘বুলবুলি’। বাবা বায়েজিদ শিকদার কন্যার এই নাম রেখেছেন।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান জানান, হনুফা বেগমের জন্য মোংলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে ধাত্রী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক পাঠানো হয়। নবজাতক এবং মা সুস্থ আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রসূতিকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
এদিকে, ঘূণিঝড় আঘাত হানার আগে শনিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কলাপট্টি আবাসন এলাকার সন্তান সম্ভাবা হুমায়রা বেগম আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। তিনি স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্র ১০নং ব্র্যাকের ৪ নম্বর ঘরে ছিলেন।
রাতেই স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী নারগিজ আক্তার হুমায়রা বেগমকে দেখভাল করেন। ভোর রাতে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরে নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলা পারভীন শিশু ও মাকে তার বাসায় আশ্রয় দেন।
সকালে এ খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি জানান, মা ও শিশু সুস্থ আছে।
শিশুর বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল হানার রাতে তার কন্যার জন্ম হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘বুলবুলি আক্তার বন্যা’। এতে মেয়ের নামের সঙ্গে ওই রাতের স্মৃতি জড়িয়ে থাকবে।
২০১৮ সালের ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের দিন খুলনার দাকোপ উপজেলা সদর চালনা পৌরসভাধীন মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে এক শিশুর জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় ‘ফণী আক্তার’।