কোনও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে এক জায়গায় আনতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই যাচ্ছি। আমরা মনে করি, সব দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে একনায়ক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারত আমাদের পানি নিয়ে যায়, কিন্তু পানি দেয় না। সীমান্তে আমাদের লোকজনকে গুলি করে মারে, তার কোনও বিচার হয় না। আবার সমুদ্রে রাডার বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে, সেখানে আমাদের কী অবস্থা হবে, তা জানি না। যেখানে আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন, গণতন্ত্র বিপন্ন, সেখানে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে যেতেই হবে। আসুন সেই লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যাই। বিজয় হবেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যারা বিনা ভোটে নির্বাচতি হয়ে সরকারের আছেন তারা বলেন, ৭ নভেম্বর মানেন না। মানবেন কেন? স্বার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন না বলেই মানেন না। যারা দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন, একটা স্বাধীর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান, তারা অবশ্য ৭ নভেম্বরকে মান্য করবেন। কারণ ওইদিন আমরা নতুন করে ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে ছিলাম।’
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কেউ কথা বলতে সাহস করেন না। টেলিভিশনে কেই কথা বলতে পারেন না। যারা কথা বলতেন, তাদের এখন টেলিভিশনে ডাকা হয় না। এত ফ্যাসিস্ট একটা সরকার জনগণের ঘাড়ে এচেপে বসেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হবেই। এর কোনও বিকল্প নেই।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যাস্টিটার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।