দেশজনতা অনলাইনঃভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও তারা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আইনজীবীদের মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আইনজীবী জাফরাইব জিলানি জানিয়েছেন, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবেন তারা।
শনিবার বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ভূমিতে একটি মন্দির নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিবর্তে অযোধ্যার অন্য কোনও স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর ভূমি পাবে মুসলিমরা।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, ‘আমরা রায়ে প্রতি শ্রদ্ধাশীল তবে আমরা সন্তুষ্ট নই। এই রায়ে স্ববিরোধিতা আছে ৷ আমরা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাব ৷ আমাদের কাছে ৫ একর জমির মূল্য নেই৷ তবে আমাদের এই রায় মানতে হবে ৷’ তবে হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, রায়ের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার রায় ঘোষণা শুরু করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বিতর্কিত স্থানটি সরকারি ট্রাস্টকে দেওয়া হবে। বাবরি মসজিদের ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমি পাবে হিন্দুরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করবে সরকার। পরে সেখানে মন্দির প্রাঙ্গণ নির্মাণ করবে তারা। পরিবর্তে অযোধ্যার অন্য স্থান থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি পাবে মুসলিমরা।
রায় ঘোষণার এক পর্যায়ে বলেছেন, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল। তবে কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট যে সেগুলো অনৈসলামিক। তবে এএসআই এ কথা বলেনি, যে তার নীচে মন্দিরই ছিল। রায়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, তবে কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।