দেশজনতা অনলাইন : দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৬৬৪ জন হলেও বন্দীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন। আর ৬৮টি কারাগারে থাকা এসব বন্দীর জন্য চিকিৎসকের ১৪১টি পদ থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১০ জন। এ হিসেবে আট হাজার ৭০০ বন্দীর জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ২৭ আগস্টের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য ১১ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে চারজন কাজে যোগদান করেছেন। বাকি ১৬ জন এখনো যোগদান করেননি।
কেন ওই ১৬ জন যোগদান করেননি তা আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন।
রিটকারী আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দীদের ধারণক্ষমতা, বন্দী ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করে।
ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রি.জে একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়– কারা চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১টি। এর বিপরীতে চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন ১০ জন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র চারজন যোগদান করেন। বাকি ১৬জন এখনো যোগদান করেননি।
কেন ওই ১৬ জন যোগদান করেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান মো. জে আর খাঁন রবিন।
এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী।
২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়েছে।
বিবাদীরা হচ্ছেন আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শক।