রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিদ্যুৎস্পর্শে এক ছাত্রের মৃত্যুতে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠিসহ শিক্ষার্থীরা।
নাইমুল আবরার (১৫) নামে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গনে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে জড়ো হয় এবং আবরারের মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
তারা কর্তৃপক্ষকে চার দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আবরারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সময়ের ফুটেজ চেয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।
আবরার ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী ও আবাসিক ছাত্র ছিল। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
শুক্রবার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল সে। বিকেলে মাঠের এক প্রান্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে।
সেখানে জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পের দুজন চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার রাতে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে জানাজা শেষে আবরারের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকালে সেখানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে আবরারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ। তিনি জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকও নাইমুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আবরারকে চিরকাল স্মরণ করা হবে। এ দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আবরারের মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন আনিসুল হক। তিনি এই পরিবারকে তাঁর নিজের এবং কিশোর আলোর পরিবার হিসেবে গ্রহণ করার কথা তাঁদের জানান।
এদিকে আবরারের মৃত্যুর খবর জানার পরেও অনুষ্ঠান চলতে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।