বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা আদায়ের মামলায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘ব্যবসা করবেন টাকা দেবেন না, তা হয় না।’
জিপির আইনজীবীদের করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে জিপিকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছেন আদালত।
আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জিপির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
শুনানিকালে জিপির আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘এদেশে ব্যবসা করাটা সহজ। যখন টাকা-পয়সার ব্যাপার আসে, তখন আদালতে এসে একটা আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে টাকা দেওয়া হয় না। গড়িমসি করা হয়। মামলাগুলো করাই হয় যাতে টাকা দিতে না হয়। এসব মামলার কারণে অর্থঋণ আদালতগুলোতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা আটকে আছে। ব্যবসা করবেন টাকা দেবেন না, তা হয় না।’
জিপির আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই টাকা দেবো।’
তখন আদালত বলেন, ‘সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাবে, আর আপনি বলছেন ১০০ কোটি। ওইখানে কমপ্রোমাইজ করবেন আর আদালতে এসে মামলা করবেন, সেটা হতে পারে না।’
জবাবে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘তারা সিদ্ধান্ত না মানায় আদালতে এসেছি। টাকা দেবো না, একথা তো কখনও বলিনি।’
এসময় জিপির আরেক আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিটিআরসির দাবি করা টাকার ভিত্তি আছে কিনা, সেটা আদালতের দেখা দরকার। একটা বহুজাতিক কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করতে এসেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। এর আগে জিপি ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে।’
এসময় বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে গ্রামীণফোন ওই টাকা দিয়েছে। আর অডিটের মাধ্যমে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার হিসাব এসেছে। গ্রামীণফোন তখন তো কোনও আপত্তি করেনি।’
এ পর্যায়ে আদালত গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিটিআরসির দাবি করা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আপাতত কত টাকা দিতে পারবে, তা জানাতে জিপিকে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হলো। এর মধ্যে না জানালে আদেশ দেওয়া হবে।’ এরপর আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দিতে জিপিকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই চিঠির বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করে নিষেধাজ্ঞা চায় জিপি। গত ২৮ আগস্ট আদালত মামলা খারিজ করে দেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে জিপি। হাইকোর্ট বিটিআরসির চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি।
জিপির আইনজীবীদের করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে জিপিকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছেন আদালত।
আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জিপির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
শুনানিকালে জিপির আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘এদেশে ব্যবসা করাটা সহজ। যখন টাকা-পয়সার ব্যাপার আসে, তখন আদালতে এসে একটা আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে টাকা দেওয়া হয় না। গড়িমসি করা হয়। মামলাগুলো করাই হয় যাতে টাকা দিতে না হয়। এসব মামলার কারণে অর্থঋণ আদালতগুলোতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা আটকে আছে। ব্যবসা করবেন টাকা দেবেন না, তা হয় না।’
জিপির আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই টাকা দেবো।’
তখন আদালত বলেন, ‘সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাবে, আর আপনি বলছেন ১০০ কোটি। ওইখানে কমপ্রোমাইজ করবেন আর আদালতে এসে মামলা করবেন, সেটা হতে পারে না।’
জবাবে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘তারা সিদ্ধান্ত না মানায় আদালতে এসেছি। টাকা দেবো না, একথা তো কখনও বলিনি।’
এসময় জিপির আরেক আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিটিআরসির দাবি করা টাকার ভিত্তি আছে কিনা, সেটা আদালতের দেখা দরকার। একটা বহুজাতিক কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করতে এসেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। এর আগে জিপি ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে।’
এসময় বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে গ্রামীণফোন ওই টাকা দিয়েছে। আর অডিটের মাধ্যমে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার হিসাব এসেছে। গ্রামীণফোন তখন তো কোনও আপত্তি করেনি।’
এ পর্যায়ে আদালত গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিটিআরসির দাবি করা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আপাতত কত টাকা দিতে পারবে, তা জানাতে জিপিকে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হলো। এর মধ্যে না জানালে আদেশ দেওয়া হবে।’ এরপর আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দিতে জিপিকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই চিঠির বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করে নিষেধাজ্ঞা চায় জিপি। গত ২৮ আগস্ট আদালত মামলা খারিজ করে দেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে জিপি। হাইকোর্ট বিটিআরসির চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি।