নানা ঝক্কি-ঝামেলা শেষে সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব নিলেও স্বস্তি পাচ্ছেন না ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আপাতত আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার পরিকল্পনা নেয়ায় ফুঁসে উঠেছে সংগঠনের ‘বিবাহিতরা’। যাদের আশঙ্কা সব যোগ্যতা থাকলেও বিবাহিত হওয়ার কারণে তাদের রাখা হবে না কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
যে কারণে শুধু বিবাহিত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের যেন বাদ দেয়া না হয় সে জন্য আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
ছাত্রদলের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’
আরাফাত বিল্লাহ ছাত্রদলের বিগত কাউন্সিলে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র তুললেও বিবাহিত হওয়ার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
অনশনকারীরা বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে তখন কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। এখন দুই সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি যখন পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে, তখন এই ইস্যুটি সামনে আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সমাধান না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বলেও দাবি করেন তারা।
বিবাহিত নেতারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছেন। তারা দুজনই এ ব্যাপারে নেতিবাচক। তারা (খোকন-শ্যামল) বলেছেন, লন্ডনে কথা বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানকে রাজি করাতে পারলে বিষয়টিতে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।