গত সোমবার দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা। পরদিন জরুরি বৈঠকে বসে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ। সভা শেষে দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু তার কথায় সমাধান আসেনি। বরং এই ধর্মঘটকে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন।
নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, ঘটনার পর থেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। তবে তার দরজা ক্রিকেটারদের জন্য সব সময় খোলা বলে জানান বোর্ড প্রধান। আজ বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, এরই মধ্যে তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। দেওয়া হয়েছে আলোচনায় বসার প্রস্তাব।
দুপুরে বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বোর্ড সভাপতির নির্দেশে আমরা আবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাই। জাতীয় দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবালের সঙ্গে আমার কথা হয়। ওকে জানানো হয়েছে আর্থিক যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো সমাধান সময়ের ব্যাপার মাত্র। দ্রুত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হবে।’
‘তামিমও জানিয়েছেন, ও ওর সতীর্থ যারা আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাবে। আমরা এরই মধ্যে জেনেছি ক্রিকেটাররা কোথাও না কোথাও বসবে। আমরা জানিয়েছি বিকেল ৫টায় আমাদের পাওয়া যাবে। বাইরে কোথাও বা বোর্ডে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হতে পারে।’
দাবিগুলো মানার ব্যাপারে বোর্ড নমনীয় হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সিদ্ধান্তে নমনীয় হওয়ার কিছু নেই। কাল কিন্তু বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, যে দাবি দেওয়া আছে সেগুলোতে উনার নীতিগত সমর্থন আছে।’
আজ সকাল থেকে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সংকট সমাধানে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মধ্যস্থতার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে তারা অবগত নন বলে জানালেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী, ‘মাশরাফি বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, প্লাস একজন সংসদ সদস্য। যদি এমন কোনো দায়িত্ব মাশরাফি পেয়ে থাকে, সেটা তো অবশ্যই ভালো। তবে আমরা এ ব্যাপারে অবগত নই।’