পোস্তগোলার ভাষা প্রদীপ উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে বিতরণের বই ঠোঙ্গা বানানোর দোকানে বিক্রি করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে র্যাব জানিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় র্যাব। স্কুলটির স্টোর রুম থেকে অবৈধভাবে মজুত করা প্রায় ১৬ হাজার বই জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের যোগসাজশে কেজি দরে ১০-১২ হাজার বই বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও প্রায় ১৬ হাজার বই। এসব বই বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন।
অভিযানের পর তিনি বলেন, ‘১৯ অক্টোবর স্কুলের ভেতর থেকে ভ্যানে করে বিনামূল্যে বিতরণের বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তা টের পায়। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ মঙ্গলবার রাতে স্কুলে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঠোঙ্গা বানানোর দোকানে কেজি দরে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ পায় র্যাব। গত কয়েক দিনে ১০-১২ হাজার বই ধাপে ধাপে বিক্রি করা হয়েছে।’
জানা গেছে, স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা আফসানা শাহিন মির্জা, অফিস সহকারী ইসহাক আলী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত। অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-১০ এর উপঅধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে বই বিক্রির সত্যতা পেয়েছি। কে কে এই অপরাধে যুক্ত রয়েছেন, অধিকতর তদন্তে তাদের সবার পরিচয় বেরিয়ে আসবে।’
অপরাধটি গুরুতর হওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে উপস্থিত থাকলেও কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দেননি। স্কুলটিতে অভিযান চালিয়ে যা যা পাওয়া গেছে, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বিনামূল্যে বিতরণের বই বিক্রির অভিযোগে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা এসে দেখেছি, স্কুলে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী তার চেয়ে বেশি বই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ডিমান্ড করে অতিরিক্ত বই এনেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বেশি পরিমাণ বইয়ের ডিমান্ড এবং সংগ্রহ করার ব্যাখ্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, সরকারি স্কুলের বাইরে আরও ৪০টির মতো কিন্ডার গার্টেন রয়েছে, যেখানে সরকারিভাবে বই পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাই এই স্কুলের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। আমরা সেই বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি চলতি বছর যে পরিমাণ বই ডিমান্ড করা হয়েছিল, তার প্রায় ২৩ হাজার বই এখনও বিতরণ করা হয়নি। এই ২৩ হাজার বই বিতরণ করা না হলে সেগুলো বোর্ডের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা। সেটা করা হয়নি। আমরা অতিরিক্ত প্রায় ১৬ হাজার বইয়ের মজুত পেয়েছি। এছাড়া যেসব স্কুলে এখান থেকে বই বিতরণ করা হয়েছে, সেখানেও গরমিল রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম-ঠিকানা বা যথাযথ ডকুমেন্ট নেই।’
অন্যায়ভাবে বই বিক্রির বিষয়ে র্যাব-১০ এর উপঅধিনায়ক বলেন, ‘স্কুলটি তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বই শিক্ষা বোর্ডে ফেরত দেয়নি। আমরা তথ্য পাই, বইগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বইগুলো তারা বিক্রি করছে। গতকালও ঠোঙ্গা বানানোর দোকানে বিনামূল্যে বিতরণের বই বিক্রি করা হয়েছে। অভিযান শুরু করলে প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বই বিক্রির বিষয় অস্বীকার করে। পরবর্তীতে স্কুলের নথিপত্র দেখে অনিয়ম পাওয়া যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বই তারা সংরক্ষণ করেছিল। আমরা যে পরিমাণ পেয়েছি, সেগুলো ছাড়া প্রায় ১১-১২ হাজার বই তারা বিক্রি করে দিয়েছে।’
অতিরিক্ত বইগুলো কেন স্টোরে−জানতে চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ র্যাবকে জানিয়েছে, আগামী বছর ব্যবহারের জন্য সেগুলো রাখা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের জন্য স্কুলের বই চেয়ে যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই বছরের তুলনায় ৩ থেকে ৪ হাজার বই বেশি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজর শাহরিয়ার। তিনি বলেন, বই বিক্রির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে ভাষা প্রদীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফসানা মির্জার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
র্যাব জানায়, প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের যোগসাজশে কেজি দরে ১০-১২ হাজার বই বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও প্রায় ১৬ হাজার বই। এসব বই বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন।
অভিযানের পর তিনি বলেন, ‘১৯ অক্টোবর স্কুলের ভেতর থেকে ভ্যানে করে বিনামূল্যে বিতরণের বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তা টের পায়। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ মঙ্গলবার রাতে স্কুলে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঠোঙ্গা বানানোর দোকানে কেজি দরে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ পায় র্যাব। গত কয়েক দিনে ১০-১২ হাজার বই ধাপে ধাপে বিক্রি করা হয়েছে।’
জানা গেছে, স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা আফসানা শাহিন মির্জা, অফিস সহকারী ইসহাক আলী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত। অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-১০ এর উপঅধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে বই বিক্রির সত্যতা পেয়েছি। কে কে এই অপরাধে যুক্ত রয়েছেন, অধিকতর তদন্তে তাদের সবার পরিচয় বেরিয়ে আসবে।’
অপরাধটি গুরুতর হওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে উপস্থিত থাকলেও কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দেননি। স্কুলটিতে অভিযান চালিয়ে যা যা পাওয়া গেছে, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বিনামূল্যে বিতরণের বই বিক্রির অভিযোগে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা এসে দেখেছি, স্কুলে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী তার চেয়ে বেশি বই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ডিমান্ড করে অতিরিক্ত বই এনেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বেশি পরিমাণ বইয়ের ডিমান্ড এবং সংগ্রহ করার ব্যাখ্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, সরকারি স্কুলের বাইরে আরও ৪০টির মতো কিন্ডার গার্টেন রয়েছে, যেখানে সরকারিভাবে বই পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাই এই স্কুলের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। আমরা সেই বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি চলতি বছর যে পরিমাণ বই ডিমান্ড করা হয়েছিল, তার প্রায় ২৩ হাজার বই এখনও বিতরণ করা হয়নি। এই ২৩ হাজার বই বিতরণ করা না হলে সেগুলো বোর্ডের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা। সেটা করা হয়নি। আমরা অতিরিক্ত প্রায় ১৬ হাজার বইয়ের মজুত পেয়েছি। এছাড়া যেসব স্কুলে এখান থেকে বই বিতরণ করা হয়েছে, সেখানেও গরমিল রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম-ঠিকানা বা যথাযথ ডকুমেন্ট নেই।’
অন্যায়ভাবে বই বিক্রির বিষয়ে র্যাব-১০ এর উপঅধিনায়ক বলেন, ‘স্কুলটি তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বই শিক্ষা বোর্ডে ফেরত দেয়নি। আমরা তথ্য পাই, বইগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বইগুলো তারা বিক্রি করছে। গতকালও ঠোঙ্গা বানানোর দোকানে বিনামূল্যে বিতরণের বই বিক্রি করা হয়েছে। অভিযান শুরু করলে প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বই বিক্রির বিষয় অস্বীকার করে। পরবর্তীতে স্কুলের নথিপত্র দেখে অনিয়ম পাওয়া যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বই তারা সংরক্ষণ করেছিল। আমরা যে পরিমাণ পেয়েছি, সেগুলো ছাড়া প্রায় ১১-১২ হাজার বই তারা বিক্রি করে দিয়েছে।’
অতিরিক্ত বইগুলো কেন স্টোরে−জানতে চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ র্যাবকে জানিয়েছে, আগামী বছর ব্যবহারের জন্য সেগুলো রাখা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের জন্য স্কুলের বই চেয়ে যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই বছরের তুলনায় ৩ থেকে ৪ হাজার বই বেশি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজর শাহরিয়ার। তিনি বলেন, বই বিক্রির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে ভাষা প্রদীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফসানা মির্জার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।